নিজস্ব প্রতিবেদক :

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, পেশাগত চ্যালেঞ্জ, উত্থান-পতন ও বিভিন্ন পরিবর্তনের মাঝেও ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অবিচল রয়েছে। আমাদের সুসম্পর্কের মূল ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস, যেখানে উভয় দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রতিবেশী হিসেবে আমরা বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ এবং গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় রাখতে চেষ্টা করেছি, যার ভিত্তি ছিল সমতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং বোঝাপড়া।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ঐতিহাসিক ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী দিবস উপলক্ষে "বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভারতের সামরিক ও কূটনৈতিক ভূমিকা" শীর্ষক আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, ৫৩ বছর আগে, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারত। এই সিদ্ধান্তটি ইতিহাসে এক স্মরণীয় মুহূর্ত, কারণ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ১০ দিন আগে ভারত তাকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ওই তারিখটি ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের একটি বড় মাইলফলক এবং এর ভিত্তি ছিল দুই দেশের সংবেদনশীলতা, বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধা।

তিনি বলেন, গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশ অনেক কিছু অর্জন করেছে, যা সম্ভব হয়েছে ৫৩ বছর আগে আমাদের ত্যাগের ফলস্বরূপ। ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশ এবং ভারত দ্রুতগতিতে উন্নতি করেছে এবং দুই দেশের মধ্যে নতুন সহযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের সম্পর্ক এখন একে অপরের উন্নয়নের পরিপূরক।

প্রণয় ভার্মা আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সম্পর্কের মূল অংশীদার হচ্ছেন দুই দেশের জনগণ, এবং যে সম্পর্ক আমরা গড়ে তুলেছি, তার উদ্দেশ্য হল জনগণের উন্নয়ন। আমাদের সীমানা পরিবহন, বাণিজ্য, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সঞ্চালন, এবং অর্থনৈতিক সংযোগের মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের সমৃদ্ধি ও কল্যাণ নিশ্চিত হচ্ছে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী (বীর প্রতীক), সাধারণ সম্পাদক এরশাদুল ইসলাম, শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সাবেক পরিচালক মনিরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজির আহমেদ চৌধুরী, বাচিকশিল্পী টিটু মুনশী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত এবং বিভিন্ন রণসঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা।