বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হচ্ছে বিশ্ব
বিরল এক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। আগামী ৮ এপ্রিল মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা অতিক্রম করবে এটি। পরে উত্তর আমেরিকা ঘুরে যাবে এ পূর্ণ সূর্যগ্রহণ। মূলত বিশ্বের তিন দেশের মানুষ দিনকে রাতের মতো দেখতে পাবে। সম্প্রতি এপি ও মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওইদিন সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। ফলে দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার। তবে সব সূর্যগ্রহণের মতো একই সঙ্গে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চল থেকে এর দর্শন মিলবে না।
বিবর্তনের শুরু থেকে পৃথিবী জুড়ে সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে রয়েছে নানান জনশ্রুতি, কল্পকাহিনি ও কুসংস্কার। আমাদের দেশেও কম নয়। অনেকে বলেন, গর্ভাবস্থায় কোনো নারী সূর্য অথবা চন্দ্রগ্রহণের সময় যদি কিছু কাটাকাটি করেন তাহলে গর্ভের সন্তানের নাকি অঙ্গহানি হয়। আসলে এগুলোর সবই কুসংস্কার। প্রকৃতির এক অনন্য, অনবদ্য ও খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা হচ্ছে এই সূর্য অথবা চন্দ্রগ্রহণ। এখানে ভিত্তিহীন গল্পগাথা বা কুসংস্কারের কোনো জায়গা নেই।
সূর্যগ্রহণে যেসব কুসংস্কার মানবেন না:
প্রসূতি মায়েদের ভয়:
সূর্যগ্রহণের সময় জন্ম নেওয়া শিশুদের ব্যাপারে দুই ধরনের গপ্প শুনতে পাওয়া যায়। এক, শিশুটি অসুস্থ হবে এবং দুই, শিশুটি চালাক হবে। তবে এ দুটি ধারণার কোনোটার ক্ষেত্রেই বিশ্বাস করার মতো যুক্তি বা তথ্য পাওয়া যায় না। প্রাচীন অ্যাজটেক সভ্যতায় বিশ্বাস করা হতো, চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের এক টুকরো খেয়ে ফেলা হয়। ম্যাক্সিকান সংস্কৃতিতে এটা বিশ্বাসে পরিণত হয়, প্রসূতি মা সূর্যগ্রহণ দেখলে তার অনাগত সন্তানের এক টুকরো খেয়ে নেবে দেবতারা।
অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের কাত হয়ে শুতে বারণ:
সূর্যগ্রহণে অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের শান্তি নেই। এ সময় তারা নাকি কাত হয়ে শুতে পারবে না। নাহলে নাকি গর্ভের শিশু বিকলাঙ্গ হয়! বাংলাদেশ ছাড়া পাকিস্তানেও এ ধারণার অস্তিত্ব রয়েছে। তবে গর্ভে শিশুকে রেখে চিত হয়ে শোয়াটা মায়েদের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
ধাতব অলংকার পরা:
ধাতব অলংকার পরতে বারণ করা আছে ‘অ্যাস্ট্রোসেইজ’ নামে এক জ্যোতির্বিদ্যা সাইটে। অন্যদিকে ম্যাক্সিকান কুসংস্কারে, গ্রহণ চলাকালীন ধাতব অলংকার পরাকে উৎসাহিত করেছে। মেক্সিকোর প্রসূতি মায়েরা পেটের কাছে ধারালো ছুরি রাখতেন যেন গ্রহণের সময় সন্তানকে ঠোঁট কাটা রোগ থেকে বাঁচানো যায়।
খাবার গ্রহণ ও টয়লেটে বারণ:
প্রচলিত আছে, সূর্যগ্রহণের ১২ ঘণ্টা এবং চন্দ্রগ্রহণের ৯ ঘণ্টা আগে থেকে খাবার গ্রহণ করা বারণ। এ সময় যৌন সংসর্গ বারণ, নিষেধাজ্ঞা রয়েছে মলমূত্র ত্যাগেও। তবে এসব ধারণার সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ নেই এবং নিশ্চিত ভাবেই কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।
যেটি মানবেন:
সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যের দিকে সরাসরি তাকানো বারণ। এটি অবশ্যই মানতে হবে। সত্যি বলতে, যেকোনো সময়েই সূর্যের দিকে সরাসরি তাকাতে নেই। সে হোক গ্রহণের সময়, কিংবা স্বাভাবিক সময়ে। সূর্যগ্রহণ দেখতে কাঁসার পাত্রে পানি থেকে শুরু করে ব্যবহার হয়েছে কাজে লাগে না এমন এক্স-রে প্লেটও। এখন অবশ্য বিশেষ রোদচশমা দিয়ে সূর্যগ্রহণ দেখা যায়।
উল্লেখ্য, সবশেষ ১৯৭০ সালে এমন সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল উত্তর আমেরিকায়। ৮ এপ্রিল আবার এ দৃশ্যের দেখা মিলবে। ২০৭৮ সালে আবার এ ঘটনার সাক্ষী হবেন আমেরিকানরা।
৪র্থ তলা, হাউজ# ২৭, রোড# ১ ব্লক# এ বনশ্রী।
সম্পাদক
মোজাম্মেল দিলন
প্রকাশক
সবার কথা মিডিয়া লিমিটেড
সবার কথা মিডিয়া লিঃ এর একটি প্রতিষ্ঠান।
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০২২২৪৪০৬০৭০
Email: sobarkothabdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০২২২৪৪০৬০৭০
Email: sobarkothabdnews@gmail.com
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || sobarkotha.com