সবার পড়াশোনার অত্যাচারের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই: রহমান
যে শিশুর যে দিকে ঝোঁক, তাকে সেই পথে বড় করে তোলা উচিত বলে মনে করেন ভারতের অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।
আনন্দবাজার লিখেছে এক পডকাস্টে এসে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এ মন্তব্য করেছেন রহমান। ওই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পডকাস্টটি নিয়ে আলোচনাও চলছে।
নিজের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে কয়েকবার ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন রাহমান। বিশ্ব চলচ্চিত্রের সম্মানজনক পুরস্কার অস্কারও পেয়েছেন তিনি। এমনকি বিশ্বসংগীতের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডও রয়েছে তার সাফল্যের মুকুটে। কিন্তু স্কুল কলেজের গৎবাঁধা নিয়মের পড়াশোনা তার করা হয়ে ওঠেনি পারিবারিক সংকটের কারণে। কিন্তু তা নিয়ে আফসোস নেই। লেখাপড়া ছেড়ে সুর-সংগীত নিয়ে মেতে থাকা নিয়ে মায়ের সমর্থনও পেয়েছিলেন বলে জানান রহমান।
রহমান বলেন, তার বাবা আর কে শেখর ছিলেন তামিল সংগীত পরিচালক। রহমান তার বাবকে হারান নয় বছর বয়সে। সংসারের হাল ধরতে হয় এর কয়েক বছর পরই। তখন রহমান বিভিন্ন অর্কেস্ট্রায় নিজেই কি–বোর্ড বাজাতে শুরু করেন, একপর্যায়ে সিনেমার গানেও মিউজিক নিয়ে কাজ শুরু করেন।
" সে সময় আমার মা মা কস্তুরী দেবী বলেছিলেন, গানের সঙ্গেই থাক। সংগীতই তোমাকে সফল করবে।"
স্কুলে সে সময় নিয়মিত হাজিরা দিতে না পারায় রহমানকে ভর্তি করা হয় চেন্নাইয়ের পদ্ম শেষাদ্রি বালা ভবনে। কিন্তু সেখানে বেশি দিন পড়া হয়নি। পরে তাকে ভর্তি করা হয় মাদ্রাজ ক্রিশ্চিয়ান কলেজ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে।
" সেখানে সহপাঠীদের নিয়ে রুটস নামের একটি ব্যান্ড তৈরি করি। আমি কি-বোর্ড বাজাতাম। একাদশের পর পড়াশোনা আর হয়নি।"
ওই বয়সে রাহমান পরে কাজ শুরু করেন অর্কেস্ট্রায়। তার ভেতরে সম্ভাবনা দেখে অর্কেস্ট্রার কর্তারা রাহমানকে লন্ডনের ট্রিনিট্রি কলেজ অব মিউজিকে পড়তে পাঠান। সেখান থেকে পশ্চিমা ধ্রুপদি সংগীতে স্নাতক ডিগ্রি নেন রাহমান।
রহমান বলেন, " আমি যাতে পুরোপুরি গানে মন দিতে পারি সে ব্যবস্থা আসলে আমার মা করেছিলেন। যা আমার কাছে আশীর্বাদস্বরূপ। তাই আমি অন্য বিষয়ে সময় নষ্ট না করে পছন্দের বিষয় নিয়ে এগুতে পেরেছি।"
রহমানের ভাষ্য হল, অধিকাংশ অভিভাবক মনে করেন সন্তান আগে ইঞ্জিনিয়ার বা চিকিৎসক হবে তার পরে সঙ্গীতশিল্পী হবে।
“আমি একেবারেই বলছি না, পড়াশোনা খারাপ। কিন্তু প্রত্যেক বাচ্চাকে এই অত্যাচারের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। যার যেটায় আগ্রহ আছে তাকে সেই বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ করে দিতে হবে।”
এই প্রসঙ্গে দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা কমল হাসনের উদাহরণ টেনে বলেন, “কমল হাসন নিজেও স্কুলছুট মানুষ। কিন্তু তার জ্ঞানের ভাণ্ডার অপরিসীম। সিনেমায় অভিনয়, পরিচালনা, সাহিত্য এবং আরো কত কি!”
৪র্থ তলা, হাউজ# ২৭, রোড# ১ ব্লক# এ বনশ্রী।
সম্পাদক
মোজাম্মেল দিলন
প্রকাশক
সবার কথা মিডিয়া লিমিটেড
সবার কথা মিডিয়া লিঃ এর একটি প্রতিষ্ঠান।
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০২২২৪৪০৬০৭০
Email: sobarkothabdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০২২২৪৪০৬০৭০
Email: sobarkothabdnews@gmail.com
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || sobarkotha.com